রক্তনালীর যত্ন! এ আবার কেমন কথা? রক্তনালীর আবার যত্ন নেওয়া যায় নাকি? বা কিভাবে রক্তনালীর যত্ন নেওয়া যায়? এরকম হাজারো প্রশ্ন অনেকের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে৷ আজকে কথা হবে এই রক্তনালীর যত্ন নিয়ে দীর্ঘজীবন প্রাপ্তির রহস্য নিয়ে।
রক্তনালীর যত্ন কিভাবে নেবেন সেটা জানতে হলে ছোট্ট করে একটু রক্তনালী সম্পর্কে কয়েকটা তথ্য জেনে রাখলে পুরো লেখাটা বুঝতে সহজ হবে।
রক্তনালী এবং রক্তঃ
আমাদের দেহে প্রায় এক লক্ষ কিমি দীর্ঘ রক্তনালী আছে। অর্থাৎ সমস্ত রক্তনালীগুলোকে একটার সাথে আরেকটা যুক্ত করলে এটা লম্বায় এক লক্ষ কিলোমিটার হবে। এর মধ্য দিয়ে বয়ে চলে রক্ত। রক্তনালী তিনটি স্তর দিয়ে তৈরী। এদেরকে বলে টিউনিকা। বাইরে থেকে ভেতরে- টিউনিকা এক্সটার্না (এডভেন্টিশিয়া), মিডিয়া এবং ইন্টিমা। এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল টিউনিকা ইন্টিমা। কারন এটা সরাসরি রক্তের সংস্পর্শে থাকে।
এই টিউনিকা ইন্টিমার প্রধান উপাদান হল এন্ডোথেলিয়াম। এটা রক্তনালীর ভেতরটা স্মুথ বা পিচ্ছিল রাখে, যাতে রক্ত বিনা বাধায় সাবলিলভাবে প্রবাহিত হতে পারে। এটা হার্ট থেকে শুরু করে একদম ছোট্ট ক্যাপিলারি পর্যন্ত বিস্তৃত। এমন কি এন্ডোথেলিয়ামের বড় অংশই থাকে ছোট ছোট ক্যাপিলারিতে। যে কারণে ক্যাপিলারির সমস্যা হতে পারে- উচ্চ রক্তচাপ, ডেসিমিনেটেড ইন্ট্রাভাস্কুলার কোয়াগুলোপ্যাথি এবং থ্রম্বোটিক মাইক্রো-এঞ্জিওপ্যাথি।
আজকের এই লেখায় এই এন্ডোথেলিয়ামকে হাইলাইট করা হবে।
এছাড়া রক্তে থাকে রক্তকোষ (লোহিত, শ্বেত ও অণুচক্রিকা) এবং রক্তরস (প্লাজমা)। ৯২% থাকে প্লাজমা। এর মধ্যে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমনঃ এন্টিবডি, হরমন, প্রোটিন, এমিনো এসিড, সুগার, কোলেস্টেরল বা লিপিড, আমাদের সেবন করা ওষুধসমূহ ইত্যাদি বয়ে বেড়ায়। রক্তনালীর মাঝ বরাবর দিয়ে যায় লোহিত রক্তকনিকা আর ধার দিয়ে যায় অনুচক্রিকা এবং শ্বেত কনিকা। রক্তনালীর সাথে অনুচক্রিকা এবং শ্বেত কনিকার নিবিড় সম্পর্ক আছে। এদের মাধ্যমে থ্রম্বসিস (রক্ত জমাট বাধা) এবং ইনফ্লামেশন (প্রদাহ) ঘটে।
রক্তের কিছু বৈশিষ্ট্যঃ
১. ফ্লুইডিটিঃ রক্তের মধ্যে একটা তরল ভাব থাকে, যার ফলে রক্ত সুন্দরভাবে বয়ে চলে। এটার এন্ডোথেলিয়ামের এন্টিকোয়াগুলেন্ট এবং এন্টিপ্লাটিলেট একশনের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
২. ভেলোসিটিঃ রক্ত বয়ে চলার একটা গতি বা স্পীড আছে। রক্তনালীর সাইজের উপর নির্ভর করে এটা কম বেশি হয়। যেমনঃ রড় ধমনিতে ৫ লি./ মিনিট আবার একেবারে ছোট ক্যাপিলারিতে ১৮ মিলি/ মিনিট।
৩. ভিস্কোসিটিঃ রক্তের নিজস্ব একটা আঠালো ভাব আছে। যার ফলে এটা একদম পানির মত নয়। এটা পানির চেয়ে ৪.৫ গুন বেশি আঠালো।
বিভিন্ন অসুখে বা গর্ভাবস্থায় এই আঠালো ভাব বেড়ে যায়। ডায়াবেটিসে এটা বেড়ে যায়।
৪. স্পেসিফিক গ্রাভিটিঃ এর একটা ভার বা ওজন আছে। ১.০৫২-১.০৬০
৫. রক্তের বিক্রিয়াঃ ক্ষারীয়। অর্থাৎ এর PH 7.35-7.45 থকে তবে বিভিন্ন অসুখে বা পয়জন বা ওষুধের বিষক্রিয়ায় এটা এসিডিক হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীর জটিলতা ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিস রোগে এটা এসিডিক হয়ে যায়। প্যারাসিটামল বা এসপিরিন পয়জনিং এ এটা এসিডিক হয়।
৬. তাপমাত্রাঃ ৩৬-৩৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
৭. পরিমানঃ ৫-৬ লিটার।
রক্তনালীর (এন্ডোথেলিয়াম) কাজঃ
১. রক্তের প্রবাহঃ
এর মধ্য দিয়ে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে রক্তের প্রবাহ ঘটে। এর পিচ্ছিল এন্ডোথেলিয়াম এবং এর গাত্র থেকে এন্টিথ্রম্বোটিক/ জমাট প্রতিরোধী উপাদান (হেপারিন, এন্টিথ্রম্বিন, থ্রম্বোমডিউলিন, প্রোস্টাসাইক্লিন) নিঃস্বরনের মাধ্যমে রক্তনালীর ভেতরে রক্ত জমাট বাধতে দেয় না।
২. রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করেঃ
কোথাও কেটে গেলে সেই জায়গার রক্তনালীর এন্ডোথেলিয়ামের গায়ে অনুচক্রিকা, রক্ত জমাট বাধার প্রোটিন ফিব্রিন, ক্যালসিয়াম এসে ওই জায়গায় জড়ো হয় এবং রক্ত পাত বন্ধ করে।
৩. প্রদাহঃ
কোথাও সংক্রমণ বা প্রদাহ ঘটলে সেই জায়গার শ্বেত কনিকাগুলো রক্তনালী থেকে বের হয়ে গিয়ে ওই টিস্যুতে প্রবেশ করে এবং জীবানু ধ্বংস করে। তবে অনেক সময় এই কাজ গুলো করতে গিয়ে নিজের রক্তনালীকেও ক্ষতিগ্রস্থ করে ফেলে।
এই তিন প্রধান কাজের পাশাপাশি আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সে করে।
যেমনঃ
-এন্ডোথেলিয়াম রক্তনালীর টোন বজায় রাখে।
-কিডনী দিয়ে রক্ত ছাকনির কাজ করে।
-এর গাত্র থেকে নাইট্রিক অক্সাইড বের হয়। যেটা রক্তনালীকে প্রসারণ করে এবং রক্তের প্রবাহ বাড়ায়। এ জন্য নাইট্রেট যুক্ত খাবার বেশি করে খেতে বলা হয়।
আবার ফ্রি রেডিকেল, এন্ডোথেলিন, থ্রম্বক্সেন-এ২ এবং এঞ্জিওটেন্সিন-২, এরা রক্তনালী সংকোচন ঘটায়। এরাও কিন্তু রক্তনালীর গাত্র থেকেই বের হয়। তাহলে মূলত রক্তনালীর সংকোচন এবং প্রসারণ উভয় ক্ষমতাই আছে।
-জীবানু ধ্বংসঃ ব্যাক্টিরিয়া, ভাইরাস তথা জীবানু রক্তে প্রবেশ করলে এদের বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরী হয়। এগুলো ঐ জীবানু (এন্টিজেন) বেধে ফেলে এবং একটা কমপ্লেক্স তৈরি করে। এদেরকে বলে এন্টিজেন-এন্টিবডি কমপ্লেক্স বা ইমিউনো কমপ্লেক্স। এদেরকে বিশেষ ধরনের শ্বেত কনিকা (ম্যাক্রোফেজ) ধরে খেয়ে ফেলে। কোনো কারনে যদি ওই ম্যাক্রোফেজ এগুলোকে খেতে না পারে, তবে এরা (কমপ্লেক্সগুলো) রক্তনালীর ক্ষতি/প্রদাহ করে।
তাহলে মূলত রক্ত প্রবাহ, তার জন্য রক্তনালীর সংকোচন-প্রসারণ, রক্ত জমাট বাধা-জমাট প্রতিরোধ, রক্তের ভেতর থেকে কোনো উপাদান বাইরে বের হওয়া ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে এই এন্ডোথেলিয়াম।
এখন এন্ডোথেলিয়াম ঠিক মত কাজ না করতে পারলে একে বলে এন্ডোথেলিয়াল ডিসফাংশন। বিভিন্ন অসুখের কারণে রক্তনালীর স্তর নষ্ট হতে পারে।
যেমনঃ ডায়াবেটিস, মেটাবলিক সিন্ড্রোম, উচ্চ রক্তচাপ, ধুমপান, স্থুলতা বা ওজনের আধিক্য, কায়িক পরিশ্রম কম করা ইত্যাদি।
আবার এই ডিস্ফাংশনের ফলে হতে পারে কিছু অসুখ।
যেমনঃ উচ্চ রক্ত চাপ, ডায়াবেটিস, করোনারি আর্টারি ডিজিজ বা হৃদরোগ, হাত পায়ের রক্ত নালীর অসুখ (পিভিডি), কিডনী নষ্ট হয়ে যাওয়া (সিকেডি)। এমন কি ক্যান্সার, স্ট্রোক হতে পারে এর জন্য।
কোন জিনিস মূলত রক্তনালী/ এন্ডোথেলিয়াম ক্ষতি করে?
উত্তরঃ প্রধানত ফ্রি রেডিকেল।
আরো কিছু জিনিস রয়েছে। যেমনঃ নিকোটিন, সুগার, কোলেস্টেরল (স্যাচুরেটেড ফ্যাট) ইত্যাদি।
কি কারনে শরীরে ফ্রি রেডিকেল বাড়ে?
১. স্থুলতা
২. ধুমপান
৩. অনিদ্রা
৪. বিভিন্ন সংক্রমিত অসুখ
৫. অধিক শর্করাযুক্ত খাবার
৬. বায়ু দুষন
কোন অসুখে এন্ডোথেলিয়ামের ছিদ্র বা পোর গুলো বড় হয়ে যায়?
-ডেঙ্গু। এর ফলে প্রচুর প্লাজমা লিক করে রক্তনালীর বাইরে চলে আসে, তবে শরীরের ভেতরেই থাকে। এর ফলে হয় ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম। এর ফলে বাংলাদেশে গত বছর অনেক মানুষ মারা গেছে।
আবার বিভিন্ন অসুখে বিভিন্ন এন্টিজেন-এন্টিবডি বিক্রিয়া বা যুদ্ধ ঘটে রক্তে। কোথাও যুদ্ধ হলে সেখানকার ময়দান তো ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই না? এ ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ ময়দান হল রক্তনালী। ফলে বিভিন্ন রক্তজমাট বাধা অসুখ হয়। এ রকম ঘটে কোভিড-১৯ অসুখের ক্ষেত্রে।
চিকিৎসাঃ
কারো রক্তনালী/ এন্ডোথেলিয়াম কেমন আছে, তা দেখার কিন্তু কোনো রুটিন টেস্ট নাই। তবে কিছু টেস্টের মাধ্যমে ধারণা পাওয়া যায়। যেমনঃ রক্তের সুগার টেস্ট, লিপিড প্রোফাইল, ডি-ডাইমার, ফেরিটিন, ইসিজি, সিরাম ক্রিয়েটিনিন, বিভিন্ন অঙ্গের এঞ্জিওগ্রাম, ডুপ্লেক্স/ ডপ্লার আল্ট্রাসাউন্ড ইত্যাদি।
এর ক্ষেত্রে উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হয়। যেমনঃ ডায়াবেটিস থাকলে তার ওষুধ। বিশেষ করে মেটফরমিন, গ্লিটাজন।
চর্বি কমানো ওষুধ। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে ACE Inhibitor (এঞ্জিওটেন্সিন কনভার্টিং এনজাইম ইনহিবিটর), এন্টিওক্সিডেন্ট (ভিটামিন-এ, সি, ই), ফলিক এসিড ইত্যাদি।
রক্তনালীর অসুখঃ
মূলত কোলেস্টেরল জমে রক্তনালীতে প্লাক তৈরি করে। এই প্রক্রিয়াকে বলে এথেরোসক্লেরোসিস। সহজ ভাষায় বলে ব্লক। এটা হার্টে হলে হার্ট এটাক, ব্রেইনে হলে স্ট্রোক, ফুসফুসে হলে পালমোনারি ইনফার্কশন, পেটের মধ্যে হলে মেসেন্টারিক ইস্কেমিয়া, হাত পায়ে হলে লিম্ব ইস্কেমিয়া বা পেরিফেরাল ভাস্কুলার ডিজিজ। এর ফলে যে জায়গায় রক্ত চলাচল ঠিক মত হয় না, সেসব জায়গা আস্তে আস্তে পচে যায়। হাত পায়ে হলে তা কেটে ফেলতে হয়।
স্ট্রোক হলে শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে যায়। কথা জড়িয়ে যায়, চোখ খুলতে পারে না। সিটি স্ক্যান করলে ধরা পরে।
হার্ট এটাক হলে বুকের মাঝখানে চাপ লাগা ব্যাথা হয়, যা বাম হাতে, কাধে, ঘাড়ে, চোয়ালে, দাতে যেতে পারে। সাথে শ্বাস কষ্ট, শরীর ঘেমে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে। ইসিজি, ট্রপোনিন, ইকো করলে ধরা পড়ে।
ফুসফুসে হলে হঠাৎ করে প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট হয়। বুকের সিটি স্ক্যান করলে ধরা পড়ে। পেটে হলে হঠাৎ করে প্রচন্ড পেট ব্যাথা হয়। এক্স-রে বা আল্ট্রাসাউন্ড করে নরমাল পাওয়া যায়। তবে সিটি-এঞ্জিওগ্রাম করলে ধরা পরে মেসেন্টারিক ইস্কেমিয়া। হাত পায়ে হলে ডুপ্লেক্স/ ডপ্লার আল্ট্রাসাউন্ড করলে ধরা পরে।
ব্লকের চিকিৎসাঃ
মূলত ব্লক অপসারণ। সেটা হতে পারে অপারেশনের মাধ্যমে, বা রিং পড়ানো/স্টেন্টিং এর মাধ্যমে।
রক্তনালীর প্রদাহ হলে বলে ভাস্কুলাইটিস। ধমনিতে হলে বলে আর্টারাইটিস। এতে রক্তে ESR এবং CRP বেড়ে যায়। এর ফলে ঐ প্রদাহ ঘটিত জায়গায় অনুচক্রিকা, শ্বেত কনিকা, বিভিন্ন জমাট বাধা উপাদান এসে ভিড় করে। এবং ক্লট তৈরী হয়। যার ফলেও হতে পারে ব্লক। এসব ক্ষেত্রে স্টেরয়েড ভাল কাজ করে।
আমি কিভাবে রক্তনালী বা এন্ডোথেলিয়ামের যত্ন নিতে পারি?
উত্তরঃ
১. শারিরিক ব্যায়াম এবং কায়িক পরিশ্রম।
২. ওজন নিয়ন্ত্রন।
(এরা আপনার রক্তের গতি ঠিক রাখবে, খারাপ কোলেস্টেরল কমাবে, ভাল কোলেস্টেরল বাড়াবে)
৩. ডায়েট/খাবারঃ খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য একটা বিষয়। এর সাথে বহু অসুখ বিসুখ জড়িত। তাই খাবার কে করতে হবে সুন্দর এবং ব্যলান্সড।
-চিনি, চর্বি, লবন এবং শর্করা যেমন ভাত কম খেতে হবে।
-খাবার তেলের মধ্যে বিশেষ করে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বাদ দিতে হবে। আনস্যাচুরেটেড তেল/ ফ্যাট (মুফা, পুফা) দিয়ে রান্না করতে হবে। এটা বেশি থাকে সামুদ্রিক মাছে ( সালমন, ইলিশ)।
রান্না তেলঃ অলিভ অয়েল। অমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড খেতে হবে।
-ফলঃ ফলে প্রচুর পরিমাণে এন্টিওক্সিডেন্ট এবং ফলিক এসিড থাকে। টক জাতীয় ফল। যেমনঃ লেবু, কমলা, বাতাবি লেবু, আমড়া, কামড়াঙ্গা, কাচা আম।
-আরজিনিন যুক্ত খাবার/নাইট্রেট যুক্ত খাবার, যা রক্তে নাইট্রিক অক্সাইড বাড়ায়। যেমনঃ বাদাম, বিভিন্ন সব্জির বিচি যেমনঃ শীম, কাঠাল ইত্যাদি। লেটুস পাতায় থাকে।
ব্যায়াম করলেও রক্তে নাইট্রিক অক্সাইড বাড়ে।
-মাশরুম
-৬-৮ ঘন্টা নিবিড় ঘুম। ঘুম ভাল হলে রক্তনালীতে প্রদাহ হয় না।
-গ্রীন টি। এতে প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট আছে।
-প্রচুর পরিমানে পানি (২-৩ লিটার) পান করতে হবে।
-শরীরে ম্যাসেজ এবং ত্বকে ড্রাই ব্রাশ করা। এতে রক্ত চলাচল বাড়ে।
-ধুমপান এবং মদ বর্জন করা।
-স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখা। এর জন্য মেডিটেশন বা রিল্যাক্সেশন করা। দমের ব্যায়াম করা।
-প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট শোয়া অবস্থায় পা উচু করে রাখা। এতে শিরা ভাল থাকবে।
-নিয়মিত অন্তত এক কাপ চা/কফি খাওয়া।
-এপল সিডার ভিনেগার।
-ক্যান বেরি জুস।
পরিশেষে সুস্থ রক্তনালী এবং স্বচ্ছ রক্ত (অতিরিক্ত সুগার, কোলেস্টেরল মুক্ত) দীর্ঘ জীবনের মূল মন্ত্র। মানুষের মৃত্যু ঘটে মূলত হটাৎ করে হার্ট এটাক বা স্ট্রোকের মাধ্যমে। আর এসব অসুখের প্রধান কারন হল ওই নির্দিষ্ট অঙ্গের ভেতর দিয়ে বয়ে চলা রক্তনালীর অসুখ সমূহ। তাই রক্তনালীর গুরুত্ব অনুভব করে আজ থেকেই যত্ন নেওয়া উচিৎ। আপনার রক্তনালী সুস্থ মানে আপনি সুস্থ। রক্তনালী সুস্থ মানে প্রত্যেকটা অঙ্গ যেমনঃ হার্ট, ব্রেইন, লিভার, ফুসফুস, কিডনী ইত্যাদি সুস্থ।
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য)
মেডিকেল প্রাবন্ধিক ও জেনারেল ফিজিশিয়ান
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস